১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ৩৩ জনের নামে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরতাল চলাকালে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাঁধা, যানবাহন ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।রবিবার (২৯/১০)সন্ধ্যায় থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম সাংবাদিক এ তথ্য জানান।

এ ঘটনায় নবীনগর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় বিস্ফোরক আইনে (৩৫৩ ধারা) একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার পর বিএনপিতে প্রচন্ড আতংক বিরাজ করছে। তবে স্থানীয় বিএনপি বলছে, ‘এটি মিথ্যে, সম্পূর্ণ সাজানো ও রাজনৈতিক হয়রাণীমূলক মামলা।’

পুলিশ জানায়, এজাহারভূক্ত গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ জন হলেন নবীনগর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আল আমীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ইমাম হোসেন অনিক, জিনোদপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সেক্রেটারী রাব্বি মিয়া, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, বড়িকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নাঈমুল ইসলাম, নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল মিয়া, জিনোদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী বদিউল আলম, বিটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আবু শামা, বিটঘর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমীন, বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছলিমগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারী এরশাদ উল্লাহ এবং বিএনপির সমর্থক নোয়াগাঁওয়ের মুজিবুর রহমান, নারায়ণপুরের সজিব আহমেদ, নীলনগরের আবদুল মমিন, কড়ইবাড়ির রকিব উদ্দিন, জিনোদপুরের মনোরঞ্জন সূত্রধর, জল্লিকান্দির খাদেম আলী ও শ্যামগ্রামের ইয়াছিন আরাফাত।
৩৩ জন আসামির মধ্যে পলাতক থাকা মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন নবীনগর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক ভিপি ওবায়দুল হক লিটন, সেক্রেটারী মাসুদুর রহমান মাসুদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজুু, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আমীরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শুক্কুর খান, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম রুবেল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইউনুছ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান মুকুল, যুবদল নেতা আলী আজ্জম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল উদয়, কৃষকদলের আহবায়ক স্বাধীন মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইকবাল হোসেন, বড়াইল বিএনপি নেতা আবুল বাশার ও হারুণ মিয়া। এছাড়াও আরও ১০ জনকে এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

পৌর বিএনপির সভাপতি ও এ মামলার আসামি সাবেক ভিপি ওবায়দুল হক লিটন বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড অসুস্থ। চিকিৎসা নিচ্ছি। তবে শুনেছি, ঘটনাস্থলে না থাকার পরও আমাকেসহ অনেককেই নাকি আসামি করা হয়েছে। এসবই মিথ্যে, সাজানো ও রাজনৈতিক হয়রাণীমূলক মামলা। যা আগে কখনও আমরা দেখিনি। এটি খুবই দু:খজনক।

নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ দুপুরে এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, অন্যায় করে কেউ কি অপরাধ স্বীকার করবে? আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সকালে ঘটনার সময় যাদের সংশ্লিষ্টতা পুলিশ পেয়েছে, তাদেরকেই পুলিশ বাদী এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।’

Facebook Comments Box
ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সম্পাদনাকারীর তথ্য

Dipu

নবীনগরে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ৩৩ জনের নামে মামলা

আপডেট : ০৭:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৮ নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হরতাল চলাকালে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাঁধা, যানবাহন ভাংচুর ও বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টির অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।রবিবার (২৯/১০)সন্ধ্যায় থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম সাংবাদিক এ তথ্য জানান।

এ ঘটনায় নবীনগর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় বিস্ফোরক আইনে (৩৫৩ ধারা) একটি মামলা হয়েছে। এ মামলার পর বিএনপিতে প্রচন্ড আতংক বিরাজ করছে। তবে স্থানীয় বিএনপি বলছে, ‘এটি মিথ্যে, সম্পূর্ণ সাজানো ও রাজনৈতিক হয়রাণীমূলক মামলা।’

পুলিশ জানায়, এজাহারভূক্ত গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ জন হলেন নবীনগর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আল আমীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ইমাম হোসেন অনিক, জিনোদপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সেক্রেটারী রাব্বি মিয়া, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, বড়িকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নাঈমুল ইসলাম, নবীনগর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রুবেল মিয়া, জিনোদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারী বদিউল আলম, বিটঘর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি আবু শামা, বিটঘর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আল আমীন, বীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ছলিমগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারী এরশাদ উল্লাহ এবং বিএনপির সমর্থক নোয়াগাঁওয়ের মুজিবুর রহমান, নারায়ণপুরের সজিব আহমেদ, নীলনগরের আবদুল মমিন, কড়ইবাড়ির রকিব উদ্দিন, জিনোদপুরের মনোরঞ্জন সূত্রধর, জল্লিকান্দির খাদেম আলী ও শ্যামগ্রামের ইয়াছিন আরাফাত।
৩৩ জন আসামির মধ্যে পলাতক থাকা মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন নবীনগর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক ভিপি ওবায়দুল হক লিটন, সেক্রেটারী মাসুদুর রহমান মাসুদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন রাজুু, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আমীরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শুক্কুর খান, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম রুবেল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইউনুছ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মফিজুর রহমান মুকুল, যুবদল নেতা আলী আজ্জম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল উদয়, কৃষকদলের আহবায়ক স্বাধীন মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক নেতা ইকবাল হোসেন, বড়াইল বিএনপি নেতা আবুল বাশার ও হারুণ মিয়া। এছাড়াও আরও ১০ জনকে এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

পৌর বিএনপির সভাপতি ও এ মামলার আসামি সাবেক ভিপি ওবায়দুল হক লিটন বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন ধরেই প্রচন্ড অসুস্থ। চিকিৎসা নিচ্ছি। তবে শুনেছি, ঘটনাস্থলে না থাকার পরও আমাকেসহ অনেককেই নাকি আসামি করা হয়েছে। এসবই মিথ্যে, সাজানো ও রাজনৈতিক হয়রাণীমূলক মামলা। যা আগে কখনও আমরা দেখিনি। এটি খুবই দু:খজনক।

নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ দুপুরে এ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে।

তিনি আরো বলেন, অন্যায় করে কেউ কি অপরাধ স্বীকার করবে? আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, সকালে ঘটনার সময় যাদের সংশ্লিষ্টতা পুলিশ পেয়েছে, তাদেরকেই পুলিশ বাদী এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।’

Facebook Comments Box