১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মফস্বল সাংবাদিকতার একাল সেকাল ও সংগঠনের দৌরাত্ম্য – মো: ওবায়দুর রহমান বাদল

 

মো: ওবায়দুর রহমান বাদল:– আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার এক অনিবার্য উপাদন হচ্ছে সংবাদপত্র।সাংবাদিকতা হচ্ছে জাতির জাগ্রত বিবেক,জাতির আয়না ও সামাজের দর্পণ।সংবাদপত্রের যাত্রা যথেষ্ট প্রাচীন হলেও বিংশ শতাব্দীতে সংবাদপত্র বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং বর্তমানেও করছে।

 

বাংলাদেশের সাংবাদিকগণও তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকার সাক্ষর রেখে আসছে। একটি দেশের সাংবাদিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী যদি সৎ, যোগ্য ও বাস্তববাদী হয় তবে যে কোন ধরনের উন্নতি করতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের বাইরে মফস্বলের সাংবাদিকতাও পর্যাপ্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং বিভিন্ন সমস্যা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতা বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

 

মফস্বল বলতে সাধারণত আমরা বুঝি শহর বহির্ভূত স্থান বা গ্রাম।এই অর্থে মফস্বলের খবর মানে ঢাকার বাইরে শহর গ্রাম-গঞ্জের জনপদের খবরই মফস্বলের খবর-সুতরা মফস্বল সাংবাদিকতা বলতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের বুঝানো হয়। মফস্বল সাংবাদিকের মধ্যে এলাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক,সাপ্তাহিক পত্রিকার সংবাদকর্মী যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক,সাপ্তাহিক পত্রিকার সংবাদকর্মীও রয়েছে।

 

মফস্বল সাংবাদিকতার সূচনালগ্নে জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি হয়ে তখন কাজ করতেন এলাকার সংস্কৃতমনা মুক্তচিন্তার শিক্ষিত-মার্জিত মানুষ গুলো, তখন সাংবাদিকতা ছিল সম্মানের এবং সংবাদপত্রের প্রত্যেকটা পাতাও ছিল মূল্যবান, প্রত্যেকটা পাতা ৮-১০ জন পাঠক একত্রিত হয়ে ভাগ ভাগ করে পড়তেন কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সাংবাদিকতার সেই সম্মান,হারিয়ে গেছে পত্রিকা পড়ার পাঠকদের সেই গুরত্ব।

 

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে সংসদীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন নামে একের পর এক জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হতে শুরু করে।পত্রিকা মালিকগন মফস্বল প্রতিনিধি নিয়োগের ব্যাপারে কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা,মেধা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা নিয়মনীতি বিচার-বিশ্লেষণ না করে বাৎসরিক বা মাসিক একটা নির্দিষ্ট অর্থ জমা দেওয়ার বিনিময়ে প্রধিনিধি নিয়োগ দিয়ে দিচ্ছে যার ফলে কোন ধরনের যোগ্যতা ছাড়াই যে-সে সাংবাদিক বনে যাচ্ছে।

 

সাংবাদিকতা অন্যান্য পেশার চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ একটি পেশা। হাতে গুনা দু’একটা পত্রিকা নামে মাত্র সম্মানি দেওয়া ছাড়া মফস্বল প্রতিনিধিদের তেমন কোন সম্মানি দেওয়া হয় না তারপরেও এক অদৃশ্য কারনে মফস্বলে বেড়েই চলছে সাংবাদিকের সংখ্যা। লোক মুখে শুনতে পাওয়া যায় কিছু কিছু উপজেলাতে কাক থেকেও নাকি সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি। ফলে সাংবাদিকতা পরিচয়পত্র বহনকারী ওই সব সাংবাদিকের অনেকেই হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িয়ে হয়ে যাচ্ছেন অঢেল অর্থ- সম্পদ সহ বহুতল ভবনের মালিক।

 

তাদের কেউ কেউ সাংবাদিক নেতা হওয়ার জন্য যাকে-তাকে নিজের টাকায় নামসর্বস্ব পত্রিকার প্রতিনিধি বানিয়ে গলায় সাংবাদিকতার কার্ড ঝুলিয়ে দিচ্ছে। এসব নামসর্বস্ব পত্রিকার ১০-১৫ জন সদস্য মিলে একের পর এক ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছে।

 

এই সকল ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা নিজেকে সভাপতি পরিচয় দিয়ে থানা, ভূমি অফিস, উপজেলা পরিষদ সহ বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের থেকে নানা সুবিধা আদায় করতে ব্যস্ত সময় পার করে।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সাংবাদিক সংগঠন গুলোকে ব্যবহার করছে যার ফলে মফস্বল সাংবাদিকদের অনেকেই প্রকৃত সাংবাদিকতা ভুলে গিয়ে বিভিন্ব রাজনৈতিক নেতা বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সাংবাদিকতা করে।

 

একটা সময় ছিল যখন কোন দূর্ঘটনার প্রতিবেদন করতে সাংবাদিকরা যেতেন তখন ভুক্তভোগী মনে সাহস পেতেন এই ভেবে যে সাংবাদিকদের করা সত্য প্রতিবেদন আমাকে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করবে অথচ এখন সাংবাদিক দেখলে ভুক্তভোগী ভয় পায় না জানি সাংবাদিকরা আসল ঘটনা আড়াল করে আমাকে ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে।

 

এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের নামসর্বস্ব পত্রিকার কিছু সাংবাদিক সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্মে ঝড়িয়ে পড়ছে ফলে বদনাম হচ্ছে পুরো সাংবাদিক সমাজের। সাংবাদিকতার চলমান বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মুক্তচিন্তার সংস্কৃতমনা প্রকৃত মফস্বল সাংবাদিকগণ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছে এবং সাংবাদিকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে যার ফলে সাংবাদিক এবং পত্রিকার প্রতি সাধারণ পাঠকদের আস্থা দিন কি দিন কমে যাচ্ছে।

 

তাই সাংবাদিকতার বর্তমান এই করুণ পরিনতি থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সহ পত্রিকা মালিকদের একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা,পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, পেশাদারিত্ব, মেধা ও প্রতিভা ছাড়া যত্রতত্র ভাবে মফস্বলে প্রতিনিধি নিয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং ভিবিন্ন নামে ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠন গুলো নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকের উপর রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। তাহলে হয়তো ফিরে আসতে পারে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ, সাংবাদিকের সম্মান এবং পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাস।

 

লেখক:- মো: ওবায়দুর রহমান বাদল,সমাজকর্মী।

Facebook Comments Box
ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সম্পাদনাকারীর তথ্য

Dipu

মফস্বল সাংবাদিকতার একাল সেকাল ও সংগঠনের দৌরাত্ম্য – মো: ওবায়দুর রহমান বাদল

আপডেট : ০৪:৫৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

 

মো: ওবায়দুর রহমান বাদল:– আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার এক অনিবার্য উপাদন হচ্ছে সংবাদপত্র।সাংবাদিকতা হচ্ছে জাতির জাগ্রত বিবেক,জাতির আয়না ও সামাজের দর্পণ।সংবাদপত্রের যাত্রা যথেষ্ট প্রাচীন হলেও বিংশ শতাব্দীতে সংবাদপত্র বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এবং বর্তমানেও করছে।

 

বাংলাদেশের সাংবাদিকগণও তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকার সাক্ষর রেখে আসছে। একটি দেশের সাংবাদিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রী যদি সৎ, যোগ্য ও বাস্তববাদী হয় তবে যে কোন ধরনের উন্নতি করতে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরের বাইরে মফস্বলের সাংবাদিকতাও পর্যাপ্ত বিস্তৃত হয়েছে এবং বিভিন্ন সমস্যা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতা বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে।

 

মফস্বল বলতে সাধারণত আমরা বুঝি শহর বহির্ভূত স্থান বা গ্রাম।এই অর্থে মফস্বলের খবর মানে ঢাকার বাইরে শহর গ্রাম-গঞ্জের জনপদের খবরই মফস্বলের খবর-সুতরা মফস্বল সাংবাদিকতা বলতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের বুঝানো হয়। মফস্বল সাংবাদিকের মধ্যে এলাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক,সাপ্তাহিক পত্রিকার সংবাদকর্মী যেমন রয়েছে ঠিক তেমনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক,সাপ্তাহিক পত্রিকার সংবাদকর্মীও রয়েছে।

 

মফস্বল সাংবাদিকতার সূচনালগ্নে জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি হয়ে তখন কাজ করতেন এলাকার সংস্কৃতমনা মুক্তচিন্তার শিক্ষিত-মার্জিত মানুষ গুলো, তখন সাংবাদিকতা ছিল সম্মানের এবং সংবাদপত্রের প্রত্যেকটা পাতাও ছিল মূল্যবান, প্রত্যেকটা পাতা ৮-১০ জন পাঠক একত্রিত হয়ে ভাগ ভাগ করে পড়তেন কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সাংবাদিকতার সেই সম্মান,হারিয়ে গেছে পত্রিকা পড়ার পাঠকদের সেই গুরত্ব।

 

বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে সংসদীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনরায় চালু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন নামে একের পর এক জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হতে শুরু করে।পত্রিকা মালিকগন মফস্বল প্রতিনিধি নিয়োগের ব্যাপারে কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা,মেধা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা নিয়মনীতি বিচার-বিশ্লেষণ না করে বাৎসরিক বা মাসিক একটা নির্দিষ্ট অর্থ জমা দেওয়ার বিনিময়ে প্রধিনিধি নিয়োগ দিয়ে দিচ্ছে যার ফলে কোন ধরনের যোগ্যতা ছাড়াই যে-সে সাংবাদিক বনে যাচ্ছে।

 

সাংবাদিকতা অন্যান্য পেশার চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ একটি পেশা। হাতে গুনা দু’একটা পত্রিকা নামে মাত্র সম্মানি দেওয়া ছাড়া মফস্বল প্রতিনিধিদের তেমন কোন সম্মানি দেওয়া হয় না তারপরেও এক অদৃশ্য কারনে মফস্বলে বেড়েই চলছে সাংবাদিকের সংখ্যা। লোক মুখে শুনতে পাওয়া যায় কিছু কিছু উপজেলাতে কাক থেকেও নাকি সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি। ফলে সাংবাদিকতা পরিচয়পত্র বহনকারী ওই সব সাংবাদিকের অনেকেই হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িয়ে হয়ে যাচ্ছেন অঢেল অর্থ- সম্পদ সহ বহুতল ভবনের মালিক।

 

তাদের কেউ কেউ সাংবাদিক নেতা হওয়ার জন্য যাকে-তাকে নিজের টাকায় নামসর্বস্ব পত্রিকার প্রতিনিধি বানিয়ে গলায় সাংবাদিকতার কার্ড ঝুলিয়ে দিচ্ছে। এসব নামসর্বস্ব পত্রিকার ১০-১৫ জন সদস্য মিলে একের পর এক ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছে।

 

এই সকল ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা নিজেকে সভাপতি পরিচয় দিয়ে থানা, ভূমি অফিস, উপজেলা পরিষদ সহ বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের থেকে নানা সুবিধা আদায় করতে ব্যস্ত সময় পার করে।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সাংবাদিক সংগঠন গুলোকে ব্যবহার করছে যার ফলে মফস্বল সাংবাদিকদের অনেকেই প্রকৃত সাংবাদিকতা ভুলে গিয়ে বিভিন্ব রাজনৈতিক নেতা বা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সাংবাদিকতা করে।

 

একটা সময় ছিল যখন কোন দূর্ঘটনার প্রতিবেদন করতে সাংবাদিকরা যেতেন তখন ভুক্তভোগী মনে সাহস পেতেন এই ভেবে যে সাংবাদিকদের করা সত্য প্রতিবেদন আমাকে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করবে অথচ এখন সাংবাদিক দেখলে ভুক্তভোগী ভয় পায় না জানি সাংবাদিকরা আসল ঘটনা আড়াল করে আমাকে ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে।

 

এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের নামসর্বস্ব পত্রিকার কিছু সাংবাদিক সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক ব্যবসা সহ নানা অপকর্মে ঝড়িয়ে পড়ছে ফলে বদনাম হচ্ছে পুরো সাংবাদিক সমাজের। সাংবাদিকতার চলমান বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মুক্তচিন্তার সংস্কৃতমনা প্রকৃত মফস্বল সাংবাদিকগণ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছে এবং সাংবাদিকতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে যার ফলে সাংবাদিক এবং পত্রিকার প্রতি সাধারণ পাঠকদের আস্থা দিন কি দিন কমে যাচ্ছে।

 

তাই সাংবাদিকতার বর্তমান এই করুণ পরিনতি থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সহ পত্রিকা মালিকদের একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা,পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, পেশাদারিত্ব, মেধা ও প্রতিভা ছাড়া যত্রতত্র ভাবে মফস্বলে প্রতিনিধি নিয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং ভিবিন্ন নামে ভুঁইফোড় সাংবাদিক সংগঠন গুলো নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকের উপর রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। তাহলে হয়তো ফিরে আসতে পারে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ, সাংবাদিকের সম্মান এবং পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাস।

 

লেখক:- মো: ওবায়দুর রহমান বাদল,সমাজকর্মী।

Facebook Comments Box