০৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে ফসলি জমির মাটি দিয়ে খাল ভরাটের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কুড়িঘরে ফসলি জমির মাটি কেটে খাল ভরাট এর অভিযোগ উঠেছে।যে ভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলণের হিড়িক চলছে,এতে দ্রুত অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে এবং খাল ভরাটের ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে বর্ষা কালে ফসলি জমির ক্ষতি হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন নান্দুরা গ্রামের পূর্বপাশে বিলের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে কুড়িঘর বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে খাল ভরাট করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চলছে এই খাল ভরাটের হিরিক।ফসলি জমির মাটি কেটে ফেলায় পাশের জমি গুলো ভেঙে যাচ্ছে এবং খাল ভরাট করায় কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের সমস্যা হবে। প্রশাসন কে অবগত করলেও এর সুরাহা মিলছে না। ফসলি জমি পুকুরে রূপান্ত‌রিত হচ্ছে অপর দিকে খাল রাস্তায় রুপান্তরিত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,বিদ্যাকুট থেকে কুড়িঘর বাজার হয়ে তিতাস নদীতে একটি খাল ছিল।এই খাল দিয়ে নৌকা চলত এবং ফসলির জমি পানি নিষ্কাশন করা হত।কুড়িঘর বাজারের পশ্চিমে শাহআলম মেম্বার এর চাচা মোঃ ওয়াহেদ মিয়া তাদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে তাদের বাড়ির সামনে খাল ভরাট করেছে।এর পূর্বেও বাজারের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে খাল ভরাট করে রাস্তা তৈরি করেছে প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা।আমরা প্রতিবাদ করলেও তারা আমাদের কে উল্টো হুমকি প্রদান করে।এ বিষয়ে প্রশাসন কে অবগত করলেও কোনো সুরাহা মিলছে না।প্রশাসন কে ম্যানেজ করে ফসলি জমি কেটে খাল ভরাট করা হচ্ছে। যে ভাবে ফসলি জমি কেটে খাল ভরাট করা হচ্ছে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি সহ কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের সমস্যা হবে।আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি,যারা ফসলি জমি কেটে খাল ভরাট করছে তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য।

মাটি ব্যাবসায়ী মোঃ মোবারক মিয়া বলেন,ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে খাল ভরাটের বিষয়ে প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি আনা হয়নি।আপনারা এই বিষয়ে নিউজ করবেন না আমার অনুরোধ।

বর্তমান মেম্বার শাহ আলম বলেন,আমার চাচার একটি জমি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে।খাল থাকার কারণে মাটি নিতে পারছে না,তাই খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে বাড়ি ভরাট করা হবে।তবে বাড়ি নির্মাণ করার পর খালের মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে।আর আমরা প্রশাসন কে অবগত করেই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে খাল ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করতেছি।

এ বিষয়ে নবীনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত নই।এমন হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Facebook Comments Box
ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সম্পাদনাকারীর তথ্য

Mominul Haque Rubel

নবীনগরে ফসলি জমির মাটি দিয়ে খাল ভরাটের অভিযোগ

আপডেট : ০৭:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার কুড়িঘরে ফসলি জমির মাটি কেটে খাল ভরাট এর অভিযোগ উঠেছে।যে ভাবে ফসলি জমি কেটে মাটি উত্তোলণের হিড়িক চলছে,এতে দ্রুত অবৈধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে এবং খাল ভরাটের ফলে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে বর্ষা কালে ফসলি জমির ক্ষতি হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন নান্দুরা গ্রামের পূর্বপাশে বিলের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে কুড়িঘর বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে খাল ভরাট করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চলছে এই খাল ভরাটের হিরিক।ফসলি জমির মাটি কেটে ফেলায় পাশের জমি গুলো ভেঙে যাচ্ছে এবং খাল ভরাট করায় কৃষি জমিতে পানি নিষ্কাশনের সমস্যা হবে। প্রশাসন কে অবগত করলেও এর সুরাহা মিলছে না। ফসলি জমি পুকুরে রূপান্ত‌রিত হচ্ছে অপর দিকে খাল রাস্তায় রুপান্তরিত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,বিদ্যাকুট থেকে কুড়িঘর বাজার হয়ে তিতাস নদীতে একটি খাল ছিল।এই খাল দিয়ে নৌকা চলত এবং ফসলির জমি পানি নিষ্কাশন করা হত।কুড়িঘর বাজারের পশ্চিমে শাহআলম মেম্বার এর চাচা মোঃ ওয়াহেদ মিয়া তাদের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে তাদের বাড়ির সামনে খাল ভরাট করেছে।এর পূর্বেও বাজারের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে খাল ভরাট করে রাস্তা তৈরি করেছে প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা।আমরা প্রতিবাদ করলেও তারা আমাদের কে উল্টো হুমকি প্রদান করে।এ বিষয়ে প্রশাসন কে অবগত করলেও কোনো সুরাহা মিলছে না।প্রশাসন কে ম্যানেজ করে ফসলি জমি কেটে খাল ভরাট করা হচ্ছে। যে ভাবে ফসলি জমি কেটে খাল ভরাট করা হচ্ছে এতে আমাদের খাদ্য ঘাটতি সহ কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের সমস্যা হবে।আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি,যারা ফসলি জমি কেটে খাল ভরাট করছে তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য।

মাটি ব্যাবসায়ী মোঃ মোবারক মিয়া বলেন,ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে খাল ভরাটের বিষয়ে প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি আনা হয়নি।আপনারা এই বিষয়ে নিউজ করবেন না আমার অনুরোধ।

বর্তমান মেম্বার শাহ আলম বলেন,আমার চাচার একটি জমি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করা হবে।খাল থাকার কারণে মাটি নিতে পারছে না,তাই খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করে বাড়ি ভরাট করা হবে।তবে বাড়ি নির্মাণ করার পর খালের মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে।আর আমরা প্রশাসন কে অবগত করেই ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে খাল ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করতেছি।

এ বিষয়ে নবীনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান বলেন, আমি এবিষয়ে অবগত নই।এমন হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Facebook Comments Box